Ariyan Islam Nasim (বাংলা: আরিয়ান ইসলাম নাসিম)

আরিয়ান ইসলাম নাসিম


একজন বাংলাদেশি সমাজকর্মী ও সংগঠক। তিনি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অপরাধ দমন, যুব নেতৃত্ব এবং সামাজিক সংগঠনে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে তিনি যুব তারুণ্য ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদে প্রচার ও প্রকাশনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

আরিয়ান ইসলাম নাসিম ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৩নং চাঁদপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে আগ্রহী ছিলেন। কিশোর বয়সেই তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা প্রদর্শন করেন।

সংগঠন ও নেতৃত্ব

তজুমদ্দিন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন

২০১৭–১৮ সালে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, শিক্ষা সচেতনতা এবং সাংগঠনিক নেতৃত্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন।

স্বপ্নছায়া পরিষদ

তিনি প্রথমে সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

অপরাধ দমনমূলক উদ্যোগ

ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৩নং চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মাদক, জুয়া ও ভূমি দখলসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি স্থানীয় যুবসমাজকে সাথে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন।

যুব তারুণ্য ফাউন্ডেশন

 


যুব তারুণ্য ফাউন্ডেশন ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন –

  • হাছনাইন তানভীর
  • আরফিন রাহাদ
  • আরিয়ান ইসলাম নাসিম
  • (পরবর্তীতে যুক্ত হন) আব্দুল মমিন টুলু

এই সংগঠনের লক্ষ্য সমাজের আত্মউন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, অপরাধ দমন, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা বৃদ্ধি এবং যুবসমাজকে ইতিবাচক কাজে যুক্ত করা।

বর্তমানে আরিয়ান ইসলাম নাসিম সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে

  • প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক বিভাগ
  • তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক বিভাগ

– এই দুটি দায়িত্বে রয়েছেন।

অবদান

  • শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা
  • অপরাধ দমন ও সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখা
  • সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব প্রদান
  • আত্মউন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা

ব্যক্তিগত দর্শন

আরিয়ান ইসলাম নাসিম বিশ্বাস করেন – "যুবসমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে সমাজ থেকে মাদক, অপরাধ ও অন্যায় দূর করা সম্ভব।"

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য

  • ভোলাকে একটি মডেল অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা
  • জাতীয় পর্যায়ে যুবসমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরি
  • শিক্ষার্থী ও তরুণদের মাধ্যমে সমাজের আত্মউন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রসার করা